ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধা|E-Shram Card Benefit and Disadvantage 2023
26 অগাস্ট 2021 সালে ভারত সরকার দেশের সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য E-Shram কার্ড প্রকল্পটি চালু করেন। এই প্রকল্পের জন্য দেশের প্রতিটি রাজা থেকে কোটি কোটি মানুষ আবেদন করেছে। E-Shram প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (eshram.gov.in) শ্রমিকদের আবেদন প্রক্রিয়া চলছে। আগ্রহী শ্রমিকরা এই প্রকল্পের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।

আবেদনকারী শ্রমিক দেড় ই শ্রম কার্ড দেওয়া হবে। এই ই শ্রম কার্ডে একটি UAN নম্বর থাকবে। শ্রমিকরা এই ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে অনেক সুবিধা পাবে। এখানে আমরা ই শ্রম কার্ডের সুবিধার সাথে সাথে অসুবিধার কথাও বলেছি।
Table of Contents
ই শ্রম কার্ডের সুবিধা (E-Shram Card Benefit)
ভারতের শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দ্বারা এই ই শ্রম প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে দেশের অসংগঠিত শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধার্থে। এই কার্ডের সাথে কেন্দ্র সরকার দ্বারা আসা অন্য প্রকল্পের সুবিধাও পাবেন। ই শ্রম কার্ডের সমস্ত সুবিধাগুলি নিচে দেওয়া হলো –
- ই-শ্রম কার্ড তৈরি করতে ই শ্রম প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা CSC কেন্দ্রে যেতে হবে।
- ই শ্রম পোর্টালে সমস্ত শ্রমিকদের আবেদন করা আবশ্যক।
- আবেদনকারী শ্রমিকদের একটি 12 সংখ্যার UAN নম্বরযুক্ত কার্ড দেওয়া হবে।
- ই শ্রম কার্ড প্রাপ্ত শ্রমিকদের 2 লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বীমা দেওয়া হবে।
- ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে শ্রমিকরা ভারত সরকারের অন্যান্য যোজনার সুবিধাও পাবে।
ই-শ্রম কার্ডের অধীনে বিভিন্ন যোজনার সুবিধা (Other Yojana Under E-Shram Card)
- প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা।
- ন্যাশনাল পেনশন স্কিম ফর ট্রেডার্স এন্ড সেল্ফ-এমপ্লয়েড পারসন্স
- প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা।
- প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা যোজনা।
- অটল পেনশন যোজনা।
- PDS
- প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – গ্রামীণ
- ন্যাশনাল সোশ্যাল এসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম।
- আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা।
- হেলথ ইন্সুরেন্স স্কিম ফর হ্যান্ডলুম ওয়েভার্স।
- ন্যাশনাল সাফাই কর্মচারী ফিনান্স এন্ড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন।
- সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট স্কিম ফর রিহ্যাবিলিটেশন অফ ম্যানুয়াল স্ক্যাভেনজার্স (SRMS)
ই-শ্রম কার্ডের অসুবিধা (E-Shram Card Disadvantage)
আমরা যদি স্বাভাবিক ভাবে ই শ্রম কার্ডের অসুবিধার কথা বলি তাহলে এর কোনো ক্ষতি নেই আছে শুধুই উপকার। কিন্তু বর্তমানে যারা পড়াশুনা করছেন, চাকরি করছেন, সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন অথবা যাদের EPFO এবং ESIC কার্ড রয়েছে তারা যদি ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করেন তবে তারা নিচে দেওয়া ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন।
- চাকরি পেতে সমস্যা।
- চাকরির পর PF এর টাকা পেতে সমস্যা।
- ইতিমধ্যে EPFO তে জমানো টাকা তুলতে সমস্যা।
- ESIC কার্ড ব্যাবহারে সমস্যা।
যদিও এই অসুবিধাগুলি এবং সমস্যা গুলি সবসময় হবে না। হয়তো বা আপনি এই সমস্যার মুখোমুখি হলেন না তবুও আমাদের পরামর্শ এই যে আপনি যদি একজন ছাত্র বা কোন সংগঠিত সেক্টরে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার ই শ্রম কার্ড না করা উচিত।
ই-শ্রম কার্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য (Information Related to E-Shram Card)
- ই শ্রম কার্ড তৈরি করতে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে 16-60 বছরের মধ্যে।
- আয়করদাতা হতে হবেনা।
- এখনো পর্যন্ত প্রায় 27 কোটি ই শ্রম কার্ড ইস্যু হয়েছে।
- দেশের সমস্ত ধরনের অসংগঠিত শ্রমিক এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে।
কিভাবে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করবেন (How to Apply Eshram Card
আপনি খুব সহজেই ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ই শ্রম কার্ড করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে প্রথমত আপনি নিজে করতে পারবেন ই-শ্রম প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে দ্বিতীয় CSC কেন্দ্রে গিয়ে। তবে নিজে থেকে ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে আপনার আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যোগ থাকা আবশ্যক।তাহলে আপনি খুব সহজেই নিজে থেকে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আপনার আধারের সাথে যদি মোবাইল নম্বর যোগ না থাকে তাহলে আপনাকে CSC কেন্দ্র থেকে আবেদন করতে হবে। ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে কিছু গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে যেমন আধার কার্ড, মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক একাউন্ট নম্বর ইত্যাদি।