Yojana

ই শ্রমিক কার্ডের সুবিধা, অনলাইন আবেদন 2023|E-Shram Card Online Registration 2023

ই শ্রমিক কার্ড, ই শ্রমিক কার্ড অনলাইন আবেদন, ই শ্রমিক কার্ড অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, ই শ্রমিক পোর্টাল (E-Shram Card, E- Shram Card Online Registration, E-Shram Portal Online Apply)

eshram card in bengali

দেশের সমস্ত শ্রমিক কে শক্তিশালী এবং সাবলম্বি করতে সরকার দেশের সংগঠিত এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা শুরু করেছে। তবে এমন অনেক শ্রমিক আছেন যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য কিন্তু তারা কোন কারনের জন্য এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এই সমস্ত শ্রমিকদের জন্য ভারত সরকার ই-শ্রম পোর্টাল চালু করেছে। ই-শ্রম কার্ডের সাহায্যে সরকার সমস্ত শ্রমিকের তথ্য সংগ্রহ করছে। এই পোস্টটি থেকে ই-শ্রম কার্ডের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাবেন। যেমন কিভাবে ই-শ্রম কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন, ই শ্রম কার্ডের সুবিধা, বৈশিষ্ট্য, যোগ্যতা এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ নথি। তাহলে বন্ধুরা আপনি যদি সঠিক ভাবে ই-শ্রমিক কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে আমাদের এই পোস্টটিকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

ই শ্রম কার্ডের হাইলাইট তথ্য (Highlight Information of E-Shram Card)

প্রকল্পের নাম ই - শ্রম কার্ড
কোন সরকার নিয়ে এসেছে ভারত সরকার
শুরুর তারিখ 26 আগস্ট 2021
শেষ তারিখ নেই
মন্ত্রণালয় শ্রম এবং কর্ম মন্ত্রণালয় (Ministry of Labour & Employment)
প্রকল্পের জন্য যোগ্য সমস্ত শ্রমিক
উদ্দেশ্য সমস্ত শ্রমিকের তথ্য এক জায়গায় করা
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট eshram.gov.in
হেল্পলাইন 14434

ই শ্রমিক কার্ড (E-Shram Card in Bengali)

কেন্দ্রীয় কর্ম মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব ২৬ আগস্ট ২০২১ এ ই শ্রম পোর্টাল টি চালু করেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের ডাটাবেস তৈরি করতে। এই ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে দেশের ৩৮ কোটি মানুষের একটি ডাটাবেস তৈরী করা হচ্ছে যা শ্রমিকদের আধার কার্ডের ভিত্তিতে করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য সরকার ৪০৪ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে । যেখানে দিন মজুর, রাস্তার ধারের বিক্রেতা এবং ঘরের গৃহকর্মীকে একসাথে নিয়ে যোগ করা হবে। ই শ্রম পোর্টালে শ্রমিকের নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের দক্ষতার ধরন এবং পরিবারের তথ্য দিতে হবে। কর্মীদের একত্রীত করার পাশাপাশি ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে তাদেরকে অনেক সুবিধা দেওয়া হবে। সমস্ত প্রাপ শ্রমিকদের একটি ১২ সংখ্যার কার্ড দেওয়া হবে যেটি সারা দেশে বৈধ হবে। এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে কর্মীদের কোন টাকা দিতে হবে না। এই কার্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাও দেওয়া হবে। ই শ্রম কার্ডটি শ্রমিকদের কাজের ভিত্তিতে দেওয়া হবে। যাতে তাদের কাজ পাওয়ার সাহায্য হবে। এই ডাটাবেসের মাধ্যমে সরকারের শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প আনতে এবং তাদেরকে আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে সুবিধা হবে। ই শ্রম পোর্টালটি শ্রম এবং কর্ম মন্ত্রী দ্বারা পরিচালিত হবে।

ই শ্রম কার্ডের সুবিধা (E-Shram Card Benifits)

যখন সরকার কোন নতুন প্রকল্প নিয়ে আসে তার উদেশ্য হলো মানুষ যেন দেয় প্রকল্পের সুবিধা পাই। তাই আপনি যদি ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনি ভবিষ্যতে অনেক সুবিধা পাবেন যেমন –

  • আপনি যদি ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনি সরকারের কাছ থেকে একটি আইডি কার্ড পাবেন যার উপর ১২ সংখ্যার একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকবে।
  • ই শ্রম কার্ডে জন্য আবেদন করলে আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা যোজনার সুবিধাও পাবেন যেখানে সরকার ১ বছরের জন্য প্রিমিয়াম প্রদান করবে।
  • ভবিষ্যতে সরকার শ্রমিকদের জন্য কোন প্রকল্প আনলে শ্রমিকরা তার সুফল পাবে।
  • নতুন এবং ভালো কাজের সুবিধা পাওয়া যাবে।
  • আগামী দিনে সরকার যদি অসংগঠিত শ্রমিকদের বিপর্যয়ের কারণে কোন আর্থিক সাহায্য করতে চাই তাহলে এই ই শ্রম কার্ডের তথ্য শ্রমিকদের সাহায্য করবে।
  • আপনার যদি ই শ্রম কার্ড থাকে তবে আপনি প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধান যোজনার জন্যেও আবেদন করতে পারবেন।

ই -শ্রম কার্ডের উদেশ্য (E-Shram Card Purpose)

ই শ্রম পোর্টালের মূল উদেশ্য হলো নির্মাণ শ্রমিক,পরিযায়ী শ্রমিক, রাস্তার ধারের বিক্রেতা, প্লাটফ্রম শ্রমিক, গৃহকর্মী, কৃষি শ্রমিক ইত্যাদি সহ অসংগতি কর্মক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীদের একটি কেন্দ্রভূত ডাটাবেস তৈরি করা। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের বাস্তবায়নকে উন্নত করার লক্ষে ই শ্রম পোর্টাল টিকে চালু করা হয়েছে। ই শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প গুলিকে একত্রিত করা হবে। ই শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে কর্মীরা তাদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী কাজ পাওয়ার সহায়তা পাবেন। এছাড়াও এই পোর্টালটি ভবিষ্যতে কোভিড – ১৯ এর মতো যেকোনো জাতীয় সংকটের মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ই-শ্রম কার্ডের অসুবিধা (E-Shram Card Disadvantages)

প্রত্যেক জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও থাকে তেমনি শ্রম কার্ডের অনেক সুবিধা থাকলেও এখনো তার তেমন অসুবিধা নেই তবে ভবিষ্যতে কিছু ঘটতেও পারে।

  • যদি আপনি অসংগঠিত শ্রমিক না হন এবং ই শ্রম কার্ড করে থাকেন তাহলে সরকারের কাছে অসংগঠিত দরিদ্র শ্রমিকদের সাথে অন্যান্য ব্যাক্তির ডাটাও একসাথে থাকবে। তাই এই ক্ষেত্রে তথ্য যাচাই করতে সময় লাগবে।
  • কারো যদি PF একাউন্ট থেকে থাকে এবং ই শ্রম কার্ড তৈরি করে থাকে সেক্ষেত্রে কোথাও আবেদন করতে অসুবিধা হতে পারে।
  • আপনি যদি একজন ছাত্র হন এবং আপনি যদি ই শ্রম কার্ড তৈরি করে থাকেন তাহলে আপনি অসংগঠিত শ্রমিকদের তালিকায় আসবেন এবং ভবিষ্যতে কোন সংগঠিত সেক্টরে কাজ করলে আপনার ই শ্রমিক কার্ডটি কোন কাজে আসবেনা।
  • ই শ্রম কার্ড তৈরি করার পর আপনি যদি এই কার্ডটিকে বাতিল করতে চান তারজন্য কোন বিকল্প দেওয়া হয়নি।

কারা ই-শ্রম কার্ডের জন্য কারা আবেদন করতে পারবে (Who can apply E-Shram Card)

যখন কেন্দ্রীয় সরকার কোন প্রকল্প চালু করে তা সমস্ত দেশবাসীর জন্য এবং প্রত্যেক প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন যোগ্যতা নির্ধারন করা হয়। আমরা যদি শুধুমাত্র ই-শ্রম প্রকল্পের কথা বলি তাহলে সমস্ত অসংগঠিত কর্মী এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিচে বাকি নির্দেশ গুলি দেওয়া হলো –

  • অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত হতে হবে।
  • বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
  • ইনকাম ট্যাক্স না দেওয়া ব্যাক্তি।
  • আবেদনকারীর EPFO এবং ESIC এর সদস্য না হওয়া উচিত।

ই শ্রম কার্ডের আবেদন করতে কি কি লাগবে (Required Documents for E-Shram Card)

  • আধার নম্বর
  • মোবাইল নম্বর
  • ব্যাঙ্ক একাউন্ট নম্বর
  • ইনকাম সার্টিফিকেট
  • রেসিডেন্টসিয়াল সার্টিফিকেট
  • বয়সের প্রমান পত্র
  • পাসপোর্ট সাইজের ফটো।

ই শ্রম কার্ড সম্পর্কে কিছু গুরত্বপূর্ন তথ্য (Important Information Related to E-Shram Card)

  • ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট থেকে ভারত সরকার ই শ্রম কার্ড তৈরি করা শুরু করেছে।
  • দেশের যেকোন রাজ্যের লোক এই কার্ডটি তৈরি করতে পারবেন।
  • এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুবিধা পেতে পারেন।
  • এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে সরকার দ্বারা কোন ন্যূনতম আয়ের পরিমান নির্ধারণ করা হয়নি কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আয়করদাতা হওয়ার প্রয়োজন নেই।
  • অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত সমস্ত শ্রমিকরা এই ই শ্রম কার্ড করতে পারবেন।
  • এই কার্ড তৈরি হলে সমস্ত শ্রমিকের তথ্য সরকারের কাছে থাকবে।
  • যে সমস্ত কর্মী অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন এবং যাদের বয়স ১৬ – ৫৯ বছরের মধ্যে তারাই আবেদন করতে পারবেন।
  • এই ডাটাবেস তৈরি করবে শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
  • সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা এই কার্ডটি তৈরি করতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন।
  • প্রত্যেক শ্রমিক কে একটি ইউনিক নম্বর যুক্ত কার্ড প্রদান করা হবে।
  • এই প্রকল্পের ডাটাবেস অনুসারে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প পরিচালনা করবে।
  • এই পোর্টালে আবেদন সম্পূর্ণ ফ্রী।
  • ই শ্রম পোর্টালে আবেদন করার পর ই শ্রম কার্ড দেওয়া হবে যেটি সারাজীবন বৈধ থাকবে।
  • কার্ড অধিকারককে কার্ডটিকে রিনিউ করতে হবে না।
  • কার্ড অধিকারকদের বছরে একবার তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট আপডেট করতে হবে।
  • এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।
  • কৃষি কাজের সাথে যুক্ত শ্রমিক এবং ভূমিহীন কৃষকরাও এই পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন।
  • এই পোর্টালে আবেদন করার জন্য কোন শেষ তারিখ নেই। কর্মী যেকোন সময়ে এই পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন।
  • এই কার্ডের মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে সংগঠিত ক্ষেত্রে চলে যাওয়া কর্মীদেরও তথ্য সরকারের কাছে থাকবে।
  • এছাড়াও এই ডাটাবেস কর্মীদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।
  • এই কার্ড টি পাওয়ার পরে আপনাকে প্রাধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার সুবিধাও দেওয়া হবে। যার অধীনে আপনাকে ২ লক্ষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা বীমা প্রদান করা হবে। আপনার যদি ই শ্রম কার্ড থাকে তাহলে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আপনাকে কোন প্রিমিয়াম দিতে হবে না। সরকার এই প্রিমিয়ামের পরিমান বহন করবে।

ই-শ্রম কার্ডের সুবিধাভোগী (E-Shram Card Benifits Holder)

  • কৃষক
  • কৃষি শ্রমিক
  • ভাগ চাষি
  • জেলে
  • লেবেলিং এবং প্যাকেজিং কর্মী
  • রাজমিস্ত্রি
  • চামড়া কর্মী
  • কাঠমিস্ত্রি
  • গৃহকর্মী
  • নাপিত
  • ফল এবং সবজি বিক্রেতা
  • রিক্সা চালক
  • সংবাদপত্র বিক্রেতা
  • গাড়ির চালক
  • আশা কর্মী, ইত্যাদি

ই শ্রমিক কার্ডের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি (E-Shram Card Online Registration Process)

আপনি যদি ই শ্রম কার্ডের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে চান তার জন্য নিচে ই শ্রম কার্ড সেল্ফ রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে বলেছি। এই পদ্ধতিতে আপনি খুব সহজেই আপনার শ্রমিক কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Step -1 : সবার প্রথমে আপনাকে ই শ্রম অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে (eshram.gov.in)।

Step -2 : ওয়েবসাইটি খোলার পর আপনাকে রেজিস্টার অন ই শ্রম এ ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার সামনে এই ধরনের সেল্ফ রেজিস্ট্রেশন করার পেজ খুলবে।

E-Shram Card Online Registration Process
  • প্রথমে আপনাকে আপনার আধার কার্ডের সাথে যুক্ত মোবাইল নম্বর লিখতে হবে।
  • তারপর প্রযোজ্য ক্যাপচা পুরোন করতে হবে।
  • তারপরের দুটি অপশনে নো তে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর send OTP তে ক্লিক করতে হবে।

Step -3 : এবার আপনার মোবাইল একটি OTP আসবে সেই ওটিপি বসিয়ে সাবমিট করতে হবে।

E-Shram Card Online apply Process

Step -4 : এরপর এখানে আপনাকে আপনার আধার নম্বর টাইপ করতে হবে এবং নিচের i agree লেখা বক্সে টিক দিয়ে সাবমিট করতে হবে।

E-Shram Card Online application process

Step -5 : এবার আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে ই শ্রম কার্ড তৈরির ফর্ম খুলে যাবে যেখানে আপনার আধার কার্ড থেকে বেশ কিছু তথ্য চলে আসবে। এরপর ধাপে ধাপে বাকি তথ্য পুরোন করতে হবে যেমন –

  • আধার কার্ড
  • আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য
  • ঠিকানা
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • পেশা, কর্ম দক্ষতা
  • ব্যাংকের তথ্য

আপনাকে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপলোড করতে হবে।

Step -6 : এরপর আপনাকে preview and self declaration অপশনে ক্লিক করতে হবে।

Step -7 : এখন আপনার দেওয়া সমস্ত তথ্য আপনার সামনে দেখানো হবে।

Step -8 : আপনাকে সমস্ত তথ্য কে চেক করতে হবে।

Step -9 : এরপর আপনাকে ডিক্লারেশন এ টিক দিয়ে সাবমিট করে দিতে হবে।

Step -10 : এরপর আপনার মোবাইল একটি ওটিপি আসবে সেই ওটিপি টি টাইপ করে ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

Step -11 : এবার আপনাকে কনফার্ম অপশনে ক্লিক করতে হবে।

Step -12 : এরপরে আপনার সামনে আপনার যে শ্রম কার্ড টি খুলবে।

Step -13 : এখন আপনাকে ডাউনলোড UAN কার্ড অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ই শ্রম কার্ডের ছবি আপনার আধার কার্ডের ছবির মতোই হবে। অবশেষে আপনাকে ই শ্রম কার্ডের pdf টিকে প্রিন্ট করে ল্যামিনেশন করে নিজের কাছে রাখতে হবে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি, পেমেন্টস স্টেটাস চেক

কিভাবে শ্রমিক কার্ডের টাকা চেক করবেন (How to Check E-Shram Card Payment)

শ্রমিক কার্ডের টাকা চেক করতে সরকার দুটি পদ্ধতি করেছেন। প্রথম পদ্ধতিতে আপনার জমাকৃত টাকার পরিমাণ জানতে আপনার ব্যাঙ্কের টোল ফ্রী নম্বরে যোগাযোগ করুন। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে চেক করতে পারেন। নিচে দেওয়া পদ্ধতি অনুসারে আপনি শ্রমিক কার্ডের টাকা খুব সহজেই অনলাইনে চেক করতে পারবেন।

  • প্রথমে আপনাকে UMANG এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
how to check e-shramik-card payment status
  • এরপর আপনার সামনে হোমপেজে খুলবে।
  • হোমপেজে আপনাকে লগ ইন/রেজিস্ট্রার অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এবার এখানে আপনার একাউন্ট খুলতে হবে।
how to check e-shramik-card payment
  • এখানে আপনার মোবাইল নম্বর টাইপ করুন ।
  • এবার আপনার মোবাইলে আসা OTP টা বসান।
  • এরপর আপনাকে রেজিস্ট্রার অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে লগ ইন করতে হবে।
  • এবার আপনাকে সার্চ বক্সে PFMS অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে লোয়ার পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এবার আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট নম্বর সহ বাকি তথ্য ভর্তি করে সাবমিট করতে হবে।
  • সাবমিট করার সাথে সাথে আপনার স্ক্রিনে সমস্ত লেনদেনর তথ্য খুলে যাবে।

শ্রম কার্ডের ভুল সংশোধন করার পদ্ধতি (How to Update E-Shram Card Wrong Information)

যদি কোন কারনে আপনার ই শ্রম কার্ডে ভুল থাকে বা ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে সেই ভুল টি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই সংশোধন করতে পারবেন। নিচে দেওয়া পদ্ধতি অনুসারে আপনি সহজেই আপনার ই শ্রম কার্ডের ভুল সংশোধন করতে পারবেন।

  • প্রথমে আপনাকে ই শ্রম প্রক্লপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
  • এবার আপনার সামনে হোমপেজ খুলে যাবে।
  • হোমপেজ থেকে আপনাকে অলরেডি রেজিস্ট্রার/আপডেট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
how to e-shram card update
  • এবার আপনার সামনে একটি নতুন পেজ খুলবে।
  • এই পেজে আপনাকে আপডেট প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • আবার আপনার সামনে একটি নতুন পেজ খুলবে।
  • এই পেজে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা সমস্ত তথ্য লিখতে হবে এবং তারপর আপডেট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এইভাবে আপনি আপনার শ্রম কার্ডের ভুল সংশোধন বা এডিট‌‌‌ করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *